মাগুরানিউজ.কমঃ
প্রায় এক বছর মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্কট কেলি এবং রাশিয়ার মিখাইল কর্নিএনকো নামের দুই নভোচারী। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী হিসেবে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ছিলেন।
স্কট কেলি ৩৪০ দিন অতিবাহিত করে মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় অবস্থানকারী মার্কিন হিসেবে নাম লেখালেন। খবর বিবিসির।
দুই নভোচারী বুধবার স্থানীয় সময় ১০টা ২৬ মিনিটে নভোযান সুয়েজ ক্যাপসুলে করে কাজাখস্তানে অবতরণ করেন। এই দীর্ঘ সময় ধরে দুজনের মহাকাশে কাটানোর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিন পৃথিবী থেকে বহু দূরে মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকলে মানুষের শরীরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। কেলির যমজ ভাই আছেন। তাঁর নাম মার্ক কেলি। দুজন দেখতে একই রকম। স্কট এক বছর মহাকাশে কাটিয়ে আসার পর মার্কের সঙ্গে স্কটের চেহারায় কী তারতম্য তৈরি হলো, সেটিও গবেষকদের একটি আগ্রহের বিষয়।
এ ছাড়া মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতিতে কেলি ও কর্নিএনকোর এই দীর্ঘ মহাকাশবাস বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহাকাশে দীর্ঘদিন কাটালে পেশি টানা, ঘুমের সমস্যা, হাড় ক্ষয়, দৃষ্টি সমস্যাসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন নভোচারীরা। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবটা হয় মানসিক।
অবতরণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি এক সাক্ষাৎকারে কেলি বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমি বেশ সুস্থ আছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে নিকটজনদের কাছ থেকে দূরে থাকাটা কষ্টের।’
কাজাখস্তান থেকে কেলি সরাসরি চলে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে। সেখানে নাসার বিজ্ঞানীরা তাঁর শরীরের নানা পরিবর্তন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। কেলির ভাই অবসরপ্রাপ্ত নভোচারী মার্কের ওপর ইতিমধ্যেই গবেষকেরা পরীক্ষা চালিয়েছেন। এখন দুই ভাইয়ের শারীরিক ও মানসিক ভিন্নতা খোঁজার চেষ্টা করা হবে। মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকলে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসে কি না, সে সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ধারণা পাবেন গবেষকেরা।