মাগুরানিউজ.কমঃ
গত বছর নিম্নমুখী বাজারদরের কারণে এবার পণ্যটির উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে বাজারদর ভালো থাকায় আবারো উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে,মাগুরায় ৭ হাজার ১২০ টন রসুন উৎপাদন হয়েছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় উল্লিখিত পরিমাণে রসুন উৎপাদনের জন্য আবাদ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৬৩১ হেক্টরে। এর মধ্যে মাগুরায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে মসলাজাতীয় ফসলটির আবাদ করা হয়।
চাহিদা ভালো থাকায় বাজারে বেশি দামে রসুন বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন বলে জানা গেছে। সদর উপজেলার আমুড়ীয়া গ্রামের কৃষক নুরুল আমিন।তিনি জানান, দেড় থেকে দুই দশক ধরে পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচ চাষ করে আসছেন। গত বছর রসুন চাষ করে কোনো রকম উৎপাদন খরচটা তুলতে পেরেছিলেন। চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে রসুনের আবাদ করে উৎপাদন খরচ তুলেও ৫৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
তবে বাজারে আমদানিকৃত রসুন বিক্রি না হলে বেশি লাভ করতে পারতেন বলে জানান তিনি।কৃষি সম্প্রসারণ যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবদুল আজিজ বলেন, খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলায় প্রায় সব ধরনের মসলাজাতীয় ফসল কমবেশি উৎপাদন হয়। এর মধ্যে রসুন চাষ লাভজনক একটি ফসল। তাছাড়া বাজারে রসুনের চাহিদা ১২ মাসই থাকে। এটি চাষ করে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে কৃষকরা আরো লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।